যদি ভালো লাগে তাহলে আমাদের সঙ্গে থাকুন
Stay with us if you like
তৃতীয় শ্রেনির বাংলা পরিক্ষার উত্তর ২০২১
একাই একটি দুর্গ
1.Question:কারা ব্রাক্ষণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল?
Answerপাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল।
Question:মুক্তিযোদ্ধারা কোথায় অবস্থান নিয়েছিল?
Answerমুক্তিযোদ্ধারা দরুইন গ্রামে অবস্থান নিয়েছিল।Question:মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে কোন দুটি পথ খোলা ছিল?
Answerমুক্তিযোদ্ধাদের সামনে দুটি পথ খোলা ছিল। হয় সামনাসামনি যুদ্ধ করে মৃত্যুবরণ করা, না হয় পূর্ব দিক দিয়ে পিছু হটে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া।Question:সঙ্গীদের জীবন বাচাতে মোস্তফা কামাল কী সিদ্ধান্ত নিলেন?
Answerসঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে মোস্তফা কামাল সবাইকে সরে যেতে বললেন। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন শত্রুকে ঠেকিয়ে রাখতে একাই গুলি চালিয়ে যাবেন।Question:একাই একটি দুর্গ কাকে বোঝানো হয়েছে?
Answer‘একাই একটি দুর্গ’ বলতে মোস্তফা কামালকে বোঝানো হয়েছে। সঙ্গীদের জীবন বাঁচাতে তিনি অনবরত গুলি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর গুলির তোড়ে শত্রুরা এগুতে পারল না। তিনি একাই যেন মুক্তিবাহিনীর একটি দুর্গে পরিণত হলেন।Question:৭ই মার্চের ভাষণ কে দিয়েচিলেন?
Answer৭ই মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।Question:বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে মোস্তফা কামালের বুক ফুলে ওঠে কেন?
Answerমোস্তফা কামাল একজন সাহসী দেশপ্রেমিক। এ কারণে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে মোস্তফা কামালের বুক ফুলে ওঠে।Question:পাকিস্তানি বাহিনী কেন আখাউড় রেললাইন দিয়ে এগিয়ে এসেছিল?
Answerপাকিস্তানি বাহিনী চায় ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া দখল করতে । এ কারণে তারা কুমিল্লার আখাউড়া রেললাইন ধরে এগিয়ে এসেছিল।Question:মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কিভাবে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিলেন।
Answerমহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর চাকরি করতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীতে। এদিকে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তিনি তখন চকরি ছেড়ে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেবার কথা ভাবলেন। কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে তিনি চলে এলেন ভারতে। ভারতে এসে তিনি সেখানকার মালদহ জেলার মেহদিপুরের মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিলেন। এভাবেই মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিলেন।Question:মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কোন যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন?
Answerমুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জীবন-বাজি রেখে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারত চলে আসেন। যোগ দেন মেহদিপুরের মুক্তিবাহিনীতে। দেশ শত্রুমুক্ত হবার দুদিন আগে মহানন্দার যুদ্ধে তিনি বীরের মতো মৃত্যুবরণ করেন।
Question:পাঁচজন বীরশ্রেষ্ঠের নাম লেখো।
Answerপাঁচজন বীরশ্রেষ্ঠ হলেন: ১. বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ, ২. বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, ৩. বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মুন্সি আব্দুর রউফ ৪. বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন ৫. বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান।Question:আমাদের দেশে ______ নদী আছে।
AnswerঅনেকQuestion:মুক্তিযুদ্ধে অনেকেই ______ দিয়েছেন।
AnswerজীবনQuestion:পাকিস্তানি সেনাদের সাথে চিলো ______ অস্ত্রশস্ত্র।
AnswerভারিQuestion:______ বাহিনী গোলাবর্ষণ শুরু করল।
Answerশত্রুQuestion:শুক্রবারে আমাদের স্কুল ______ থাকে।
Answerবন্ধQuestion:দরুইন গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের দলে কয়জন সৈন্য ছিল?
Answerদরুইন গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের দলে কয়জন সৈন্য ছিল। ১৭ই এপ্রিল মোস্তফা কামাল খবর পেলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কুম্ল্লিার আখাউড়া রেললাইন ধরে এগিয়ে আসছে। তারা চাইছে, মুক্তিবানিনীকে ধ্বংশ করে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া দখল করতে।Question:মুুক্তিযোদ্ধারা কখন স্বস্তির নিঃশ্বস ফেললেন?
Answer১৭ই এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী গোলাকভর্ষণ শুরু করলে মুক্তিসেনা ভাবনায় পড়ে গেলেন। দুদিন ধরে তাদের খাবার সরবরাহ বন্ধ ছিল। এরকম অবস্থায় বাড়তি কয়েকজন সেনা দরুইনে এসে পৌছল। সেই সঙ্গে খাবারও এলো। তখন তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন।Question:১৬ই এপ্রিল মোস্তফা কামাল কিসের খবর পেলেন?
Answer১৬ই এপ্রিল মোস্তফা কামাল খবর পেলেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কুমিল্লার আখাউড়া রেললাইন ধরে এগিয়ে আসছে। তারা চাইছে, মুক্তিবাহিনীকে ধ্বংস করে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া দখল করতে।Question:মু্ক্তিসেনারা খখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন?
Answer১৭ই এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী গোলাবর্ষণ শুরু করলে মুক্তিসেনারা ভাবনায় পড়ে গেলেন। দুদিন ধরে তাদের খাবার সরবরাহ বন্ধ ছিল। এরকম অবস্থায় বাড়তি কয়েকজন সেনা দরুইনে এসে পৌঁছল। সেই সঙ্গে খাবারও এলো। তখন তারা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেললেন।
Question:পাকিসন্তানি স্যৈদের মোকাবেলা করা কঠিন ছিল কেন?
Answerপাকিস্তানি সৈন্যরা ছিল সংখ্যায় অনেক বেশি এবং তাদের কাছে ভারি অস্ত্রশস্ত্র ছিল। অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধারা ছিল সংখ্যায় কম এবং তাদের কাছে তেমন অস্ত্রও ছিল না। এসব কারণে পাকিস্তানি সৈন্যদের মোকাবেলা করা কঠিন ছিল।Question:বাঙলাদেশ সরকার মোস্তফা কামালকে কোন খেতাবে ভূষিত করেন।
Answerবাংলাদেশ সিপাহি মোস্তফা কামালকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্ছ ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত
পাল্লা দেওয়ার খবর
Question:ছকটি কোন প্রতিযোগিতার জন্য করা হয়েছে?
নিচের অনুচ্ছেদ পড়ে উত্তর দাও :
ঘোষণাটি আমি বিজ্ঞাপন বোর্ডে লাগিয়ে দিচ্ছি। আর আমি একটা ছক আমার নামে বোর্ডে পূরণ করে দেখিয়ে দিই। তোমার সেটা অনুসরণ করো।
খেলার নাম দেওয়ার ছক
নাম : সাহানা হক
শ্রেণি : তৃতীয়
রোল নম্বর : ৩
বিভাগ : ক
যে খেলা খেলতে ইচ্ছুক তার নাম :
১। ৫০ মিটার দৌড়
২। মোরগ লড়াই
৩। মনে রাখার খেলা
৪। যেমন খুশি তেমন সাজো
Answerছকটি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য করা হয়েছে?
Question:‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ খেলায় কী করতে হয়?
নিচের অনুচ্ছেদ পড়ে উত্তর দাও :
ঘোষণাটি আমি বিজ্ঞাপন বোর্ডে লাগিয়ে দিচ্ছি। আর আমি একটা ছক আমার নামে বোর্ডে পূরণ করে দেখিয়ে দিই। তোমার সেটা অনুসরণ করো।
খেলার নাম দেওয়ার ছক
নাম : সাহানা হক
শ্রেণি : তৃতীয়
রোল নম্বর : ৩
বিভাগ : ক
যে খেলা খেলতে ইচ্ছুক তার নাম :
১। ৫০ মিটার দৌড়
২। মোরগ লড়াই
৩। মনে রাখার খেলা
৪। যেমন খুশি তেমন সাজো
Answerযার যেমন ইচ্ছা তেমন সেজে এই খেলায় অংশ নিতে হয়। এ খেলায় কোনো নির্দিষ্ট পোশাক নেই। প্রত্যেকে নিজের ইচ্ছানুযায়ী এই খেলায় সাজতে পারে।
Question:শানু আপার কাঝে ছক পূরণের কথা জিজ্ঞাসা করেছিল কেন?
নিচের অনুচ্ছেদ পড়ে উত্তর দাও :
ঘোষণাটি আমি বিজ্ঞাপন বোর্ডে লাগিয়ে দিচ্ছি। আর আমি একটা ছক আমার নামে বোর্ডে পূরণ করে দেখিয়ে দিই। তোমার সেটা অনুসরণ করো।
খেলার নাম দেওয়ার ছক
নাম : সাহানা হক
শ্রেণি : তৃতীয়
রোল নম্বর : ৩
বিভাগ : ক
যে খেলা খেলতে ইচ্ছুক তার নাম :
১। ৫০ মিটার দৌড়
২। মোরগ লড়াই
৩। মনে রাখার খেলা
৪। যেমন খুশি তেমন সাজো
Answerবার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য একটি ছক। ছকটি সাহানা আপা পূরণ করে সবাইকে শিখিয়ে দিলেন।
Question:বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বলতে কী বোঝ?
নিচের অনুচ্ছেদ পড়ে উত্তর দাও :
লালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
আগামী ছাব্বিশ তারিখে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। দুটি বিভাগে ছাত্র-ছাত্রীরা নাম দিতে পারবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা ‘ক’ বিভাগে নাম দেবে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা ‘খ’ বিভাগে নাম দিতে পারবে।
Answerপ্রতি বছর খেলাধুলার যে প্রতিযোগিতা হয় তাকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বলে। সবার অংশগ্রহণে এ রকম খেলাধুলা হয়ে থাকে। এসব আয়োজনে নানা রকম খেলায় অংশ নেওয়া যায়। খেলার যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় তারা পুরষ্কার পায়
হযরত আবু বকর (রা:) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
ইসলামের ১ম খলিফা হযরত আবু বকর (রা:)।তিনি আশারাতুল মুবাশশারার অন্তর্ভুক্ত।হযরত মুহাম্মদ (স:) এর প্রিয় সাহাবি ছিলেন।তাছাড়া ইসলামের প্রথম মুসলিম পুুুুরুষ হযরত আবু বকর (র:)।
(৫৭৩-৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলাম ধর্মের প্রথম খলিফা, হযরত মুহম্মদ (সাঃ)-এর শ্বশুর। মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাল্য নাম ছিল আবদুল্লাহ্, আবু বকর ছিল তার ডাক নাম।
ইসলাম গ্রহণ করিবার পর তিনি সিদ্দীক (সত্যবাদী) এবং আতিক (দানশীল) খেতাব লাভ করেছিলেন। আবু বকরের পিতার নাম ছিল ওসমান, কিন্তু ইতিহাসে তিনি আবু কুহাফা নামেই সুপরিচিত ছিলেন। তাঁর মাতার নাম উম্মুল খায়ের সালমা। আবু বকরের মাতাপিতা উভয়েই বিখ্যাত কুরাইশ বংশের তায়িম গোত্রের লোক ছিলেন। তার মা প্রথমদিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং পিতা হিজরীর অষ্টম বৎসরে ইসলামে দীক্ষিত হন।
জন্ম:-অক্টোবর ৫৭৩ মক্কা,আরব দ্বীপ।
মৃত্যু:-২২ আগষ্ট ৬৩৪ মদিনায়।
শাসনকাল:-৮ জুন ৬৩২-২২ আগষ্ট ৬৩৪।
স্ত্রী:- কুতাইলা বিনতে আব্দুল উজ্জা(তালাকপ্রাপ্ত)।
উম্মে রুমান,আসমা বিনতে উমাইস,হাবিবা বিনতে খারিজা।
সন্তান:-*আব্দুল্লাহ ইবনে আবি বকর
*আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর
*মুহাম্মদ ইবনে আবি বকর
★আসমা বিনতে আবি বকর
★আয়েশা (রা:)
★উম্মে কুলসুম বিনতে আবি বকর।
পূর্ণ নাম:-আব্দুল্লাহ বিন আবি কুহাফা।আবু বকর নামে পরিচিত।
পিতা ও মাতা:- উসমান আবু কুহাফা ও সালমা উম্মুল খাইর।
ভাইবোন:- *মুতাক
*উতাইক
*কুহাফা ইবনে উসমান
★ফাদরা
★কারিবা
★উম্মে আমির
বংশ:- সিদ্দিকি।
আবু বকরের স্ত্রী কুতাইলা বিনতে আবদুল উজ্জা ইসলাম গ্রহণ করেন নি। আবু বকর তাকে তালাক দিয়েছিলেন। তার অন্য স্ত্রী উম্ম রুমান ইসলাম গ্রহণ করেন। তার ছেলে আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর ছাড়া অন্য সবাই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। ফলে আবু বকরের সাথে তার বিচ্ছেদ ঘটে। আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর পরবর্তীকালে মুসলিম হয়েছিলেন।
আবু বকরের ইসলাম গ্রহণ অনেককে ইসলাম গ্রহণে অণুপ্রাণিত করেছে। তিনি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ইসলাম গ্রহণে উৎসাহ যোগান। তার দ্বারা উৎসাহিত হয়ে অনেকে গ্রহণ করেছিলেন।
আবু বকরের অণুপ্রেরণায় ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন।
হযরত মুহাম্মদএর মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকার নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। মুহাজির ও আনসাররা নিজেদের মধ্য থেকে নেতা নির্বাচনের পক্ষে ছিল। কিছু গোত্র পুরনো প্রথা অণুযায়ী গোত্রভিত্তিক নেতৃত্ব ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চায়। আনসাররা সাকিফা নামক স্থানে একত্রিত হয়ে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। এরপর আবু বকর, উমর ও আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ এখানে আসেন। সভার আলোচনায় এক পর্যায়ে উমর ইবনুল খাত্তাব আবু বকরের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করেন এবং আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহও তার অণুসরণ করেন। এরপর বাকিরাও আবু বকরকে নেতা হিসেবে মেনে নেয়। সুন্নিরা তাকে "খলিফাতুর রাসুল" বা "আল্লাহর রাসুলের উত্তরাধিকারী" বলে সম্মান করে থাকে। তবে শিয়ারা আবু বকরকে বৈধ খলিফা বলে স্বীকার করে না। শিয়া মতাদর্শ অণুযায়ী আলি ইবনে আবি তালিব প্রথম খলিফা হিসেবে যোগ্য।
আবু বকর ছিলেন ইসলামের এক জলন্ত নক্ষত্র ।তাঁর শাসনামলে ইসলাম ও জনগনের জন্য তিনি যুদ্ধও করেছেন। আবু বকরের খিলাফত ২৭ মাস অর্থাৎ দুই বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়ী ছিল। এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে তাকে বেশ কিছু অস্থিতিশীলতার সম্মুখীন হতে হয় এবং তিনি তা সফলভাবে মোকাবেলা করেন। নতুন নবী দাবিকারী বিদ্রোহীদেরকে তিনি রিদ্ধার যুদ্ধে দমন করেছেন। তিনি বাইজেন্টাইন ও সাসনীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন যা ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। পরে উমর ইবনুুল খাত্তাব ও উসমান ইবনে আফফান এই অভিযান অব্যাহত রেখেছিলেন। এসব অভিযানের ফলে মুসলিম সাম্রাজ্য কয়েক দশকের মধ্যে শক্তিশালী হিসেবে আবির্ভূত হয়। খলিফা হওয়ার পর তিনি অন্যান্যদের পরামর্শক্রমে তার কাপড়ের ব্যবসা ছেড়ে দেন এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ভাতা গ্রহণ করতেন।
এই মহান খলিফা শুধু জীবিত অবস্হায় নয় মৃত্যুর পরেও সকলের চোখের মনি ছিলেন।৬৩৪ সালের ২৩ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থতার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি বিছানায় শায়িতাবস্থায় থাকেন। আবু বকর তার উত্তরসূরি মনোনীত করার জন্য প্রয়োজনীয়তা অণুভব করেন যাতে তার মৃত্যুর পর মুসলিমদের মধ্যে সমস্যা দেখা না দেয়। অন্যান্য সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করে তিনি উমর ইবনুল খাত্তাবকে তার উত্তরসূরি হিসেবে নিয়োগ দেন।
৬৩৪ সালের ২৩ আগস্ট আবু বকর মারা যান। আয়েশার ঘরে হযরত মুহাম্মদ (স:)এর পাশে তাকে দাফন করা হয়।
ইসলামের এই প্রথম খলিফা চির স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাসের পাতায় রয়েছেন।
ভাষাশহিদদের কথা
Question:ছাত্ররা কী দাবি জানিয়েছিল?
Answerছাত্ররা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়েছিল।Question:পাকিস্তানিরা কী চেয়েছিল?
Answerপাকিস্তানিরা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল। তারা আমাদরে মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল।Question:১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি কে কে শহিদ হয়েছিলেন?
Answer১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আবুল বরকত, রফিকউদ্দিন, আবদুল জব্বার শহিদ হয়েছিলেন। এদিন গুলি লেগেছিল আবদুস সালামের শরীরে। তিনিও পরে শহিদ হয়েছেন। এছাড়া নাম না জানা অনেক ভাষাপ্রেমিক শহিদ হয়েছিলেন।Question:ভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের আমরা কী নামে ডাকি?
Answerভাষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের আমরা ভাষা শহিদ নামে ডাকি।Question:রফিকউদ্দিন আহমদ কেন ঢাকায় এসেছিলেন?
Answerরফিকউদ্দিন আহমদ তাঁর বাবার ব্যবসায়ে সাহায্য করতে ঢাকায় এসেছিলেন।Question:আবদুল জব্বারের বাড়ি কোথায়?
Answerআবদুল জব্বারের বাড়ি ময়মনসিংহের গফুরগাঁওয়ে।Question:ভাষাশহিদেরা কিসের জন্য জীবন দিয়েছিলেন?
Answerভাষাশহিদেরা মাতৃভাষা তথা বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। শহিদদের জীবনের বিনিময়ে মাতৃভাষা বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা হয়েছে।Question:ফেব্রুয়ারি মাসে ফোটে এম কয়েকটি ফুলের নাম কী কী?
Answerফেব্রুয়ারি মাসে ফোটে এম কয়েকটি ফুলের নাম হলো- সাপলা, গাঁদা ও ডালিয়া।Question:ভাষাশহিদেরা কেন অমর?
Answerভাষাশহিদেরা জীবন দিয়ে বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষা করেছেন। তাঁদের আত্মত্যাগের কারণেই আমরা বাংলায় কথা বলতে পারছি। আমরা তাঁদের শ্রদ্ধা করি, স্মরণ করি। তাই তাঁরা অমর।
Question:কবিতাংশটুকু কোন কবিতার?
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে উত্তর দাও।
Answerকবিতাংশটুকু ‘চল চল চল’ কবিতার।
রাজা ও তাঁর তিন কন্যা
Question:শিমুল বকুল পারুল- এদের পরিচয় কী?
Answerশিমুল, বকুল ও পারুল- এরা তিনজন রাজকন্যা। রাজার বড় কন্যার নাম শিমুল। মেঝো কন্যার নাম বকুল। আর ছোট কন্যার নাম পারুল।Question:মেয়েদের কাছে রাজার প্রশ্নটা কী ছিল?
Answerমেয়েদের কাজে রাজা একটি সহজ প্রশ্ন করেছিলেন। প্রশ্নটা ছিল- কে তাঁকে কীরকম ভালোবাসে।Question:শিমুল বকুলের উত্তর শুনে রাজার কেমন লাগল?
Answerশিমুল ও বকুলের উত্তর শুনে রাজার মন খুশিতে ভরে উঠল। মিমুলের উত্তর শুনে রাজা একটু মুচকি হাসলেন। বুকলের উত্তর শুনে রাজার মুখে আবার দেখা গেল হাসির রেখা।Question:তোমাকে আমি নুনের মতো ভালোবাসি। একথা কে বলেছিল?
Answerতোমাকে আমি নুনের মতো ভালোবাসি- একথা পারুল বলেছিল। রাজার প্রশ্নের উত্তরে ছোট কন্যা পারুল এরকম উত্তর দিয়েছিল।Question:রাজা ছোট কন্যাকে কী করলেন?
Answerরাজা ছোট কন্যাকে গভীর জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসার হুকুম দিলেন। তিনি পারুলকে বনবাসে পাঠালেন।Question:বনে রাজার মেয়েকে কারা ফলমূল এনে দিল?
Answerবনের পুশুপাখি রাজার মেয়েকে ফলমূল এনে দিল। এসব পশুপাখির মধ্যে ছিল হরিণ, খরগোশ ও ময়ূর।Question:খাবার মুখে দিয়ে রাজা বিরক্ত হরেন কেন?
Answerরাজাকে যেসব খাবার দেওয়া হয়েছিল সেগুলোর কোনো স্বাদ ছিল না। একটুও নুন ছিল না কোন খাবারে। তাই খাবার মুখে দিয়ে রাজা বিরক্ত হলেন।Question:তিনি কীভাবে নিচের ভুল বুঝতে পারলেন?
Answerনুনের মতো ভালোবাসে বলে রাজা তাঁর ছোট কন্যাকে বনবাসে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু পরে রাজা বুঝতে পারেন নুন ছাড়া কোনো খাবার সুস্বাদু হয় না। তেমনি রাজার প্রতি মেয়ের ভালোবাসাও অনেক। এভাবেই রাজা তাঁর ভুল বুঝতে পারেন।Question:রাজার রাজ্যে আবার সুখ এলো কেন?
Answerরাজার রাজ্যে আবার সুখ ফিরে এলো। রাজ্যে সবার মুখের ফিরে এলো। রাজ্যে সবাই সুখেই ফুটল। রাজা, রানি ও তাঁর তিন কন্যার সুখের সীমা রইল না।Question:কার উত্তর শুনে রাজার মুখ কালো হয়ে গেল?
Answerপারুলের উত্তর শুনে রাজার মুখ কালো হয়ে গেল।Question:বনবাস বলতে কী বোঝায়?
Answerবনবাস বলতে বোঝায়- বনে বাস করার জন্য পাঠানো। বনবাস এক ধরনের শাস্তি।Question:পারুলের সঙ্গে দেখা করতে কারা এলো?
Answerপারুলের সঙ্গে দেখা করতে বনের পশুরা এলো। বনের এসব পশুদের মধ্যে ছিল হরিণ, খরগোশ, ময়ূর।Question:পারুল রাজ্যে ফিরে আসার কারা খুশি হলো?
Answerপারুল রাজ্যে ফিরে আসায় সবাই খুশি হলো। রানি খুশি হলেন। শিমুল, বকুল তাদের বোনকে ফিরে পেল।Question:কী না দেওয়ায় খাবার বিস্বাদ হয়েছিল?
Answerনুন না দেওয়ায় খাবার বিস্বাদ হয়েছিল।Question:পারুল রান্নার সময় কোনো কিছুতে নুন দিল না কেন?
Answerপারুল তার বাবাকে নুন ছাড়া খাবার খাওয়াতে চেয়েছিল তাই রান্নার সময় কোন কিছুতে নুন দিলনা। সে বাবাকে বোঝাতে চেয়েছিল নুন ছাড়া কোনো খাবার সুস্বাদু হয় না।Question:রাজা মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন কেন?
Answerপারুল রাজাকে নুন ছাড়া খাবার খেতে দিল। খাবারে নুন না থাকায় রাজা বিরক্ত হলেন। রাজার ছোট মেয়ে পারুল তখন রাজার কাছে নিজের পরিচয় দিল। নুনের মতো ভালোবাসে বলে রাজা তাঁর মেয়ে পারুলকে বনবাসে পাঠিয়েছিলেন। রাজা নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। নিজের আদরের মেয়ে পারুলকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।Question:তোমাকে আনি নুনের মতো ভালোবাসি।- একথা কে বলেছিল?
Answerতোমাকে আমি নুনের মতো ভালোবাসি।- একথা বলেছিল পারুল।Question:ছোট কন্যার উত্তর শুনে রানির প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
Answerছোট কন্যার উত্তর শুনে রানি অবাক হয়েছিলেন। কেননা রানি ভাবেননি ছোট কন্যা রাজাকে নুুনের মতো ভালোবাসে এমন উত্তর দিবে।Question:রাজা উজির, নাজির ও সেনাপতিকে কী হুকুম দিলেন ও কেন?
Answerরাজা উজির, নাজির ও সেনাপতিকে হুকুম দিলেন ছোট কন্যা পারুলকে গভীর জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসতে। কারণ, ছোট কন্যা রাজাকে নুনের মতো ভালোবাসে এ কথা বলেছিল।
ক. শিমুল বকুল পারুল- এদের পরিচয় কী?
উ: শিমুল, বকুল ও পারুলের পরিচয়-এরা রাজার মেয়ে।
খ. মেয়েদের কাছে রাজার প্রশ্নটা কী ছিল?
উ: মেয়েদের কাছে রাজার প্রশ্নটা ছিল, 'কে তাকে কী রকম ভালোবাসে?'
গ. শিমুল ও বকুলের উত্তর শুনে রাজার কেমন লাগল?
উ: শিমুল ও বকুলের উত্তর শুনে রাজার খুশি হয়ে মুচকি হাসল।
ঘ. তোমাকে আমি নুনের মতো ভালোবাসি। একথা কে বলেছিল?
উ: তোমাকে আমি নুনের মতো ভালোবাসি। একথা পারুল বলেছিল।
ঙ. রাজা ছোট কন্যাকে কী করলেন?
উ: রাজা ছোট কন্যাকে বনবাসে পাঠালেন।
চ. বনে রাজার মেয়েকে কারা ফলমূল এনে দিল?
উ: বনে রাজার মেয়েকে পরীরা ফলমূল এনে দিয়েছিল।
ছ. রাজা কেন বনে গিয়েছিলেন?
উ: রাজা বনে গিয়েছিলেন শিকার করার জন্যে।
জ. রাজার খাবার ব্যবস্থা করল কে?
উ: রাজার খাবারের ব্যবস্থা করল রাজার ছোট মেয়ে পারুল।
ঝ. খাবার মুখে দিয়ে রাজা রাগ করলেন কেন?
উ: খাবার মুখে দিয়ে রাজা রাগ করলেন। কারণ খাবার বিস্বাদ হয়েছে।
ঞ. তিনি কীভাবে নিজের ভুল বুঝতে পারলেন?
ক. সূর্য ওঠার পূর্বদেশ কোনটি?
উ: সূর্য ওঠার পূর্বদেশ বাংলাদেশ।
খ. কোন দেশ বীরের দেশ?
উ: বাংলাদেশ বীরের দেশ।
গ. কোন দেশ নদীর দেশ?
উ: বাংলাদেশ নদীর দেশ।
ঘ. কে মাতৃভাষা শেখালেন?
উ: মা মাতৃভাষা শেখালেন।
ঙ. মায়ের ভাষাকে মিষ্টি বলা হয়েছে কেন?
উ: মা মায়ের ভাষা শিখিয়েছেন। তাই মায়ের ভাষাকে মিষ্টি বলা হয়েছে।
মুহম্মদ (স)-ম্ম=ম+ম আম্মা, সম্মত
শত্রু-ত্র = ত+র-ফলা ছাত্র, পত্র, পাত্র
কিন্তু-ন্তু=ন+ত+উ-কার জন্তু, তন্তু
প্রবেশ-প্র= প+র-ফলা প্রচুর, প্রভাত
লম্বা-ম্ব= ম+ব হাম্বা, কম্বল
সুয্যি-য্য= য+য-ফলা শয্যা
পরিষ্কার-ষ্ক=ষ+ক আবিষ্কার, দুষ্কর
বৃষ্টি-বৃ=ব+ঋ-কার বৃথা, বৃক্ষ ষ্ট=ষ+ট মিষ্টি, কষ্ট
কৃষ্ণচূড়া-কৃ= ক+ঋ-কার দৃষ্টি, সৃষ্টি ষ্ণ=ষ+ণ তৃষ্ণা, উষ্ণ
বিচিত্র-ত্র=ত+র-ফলা ছাত্র, পাত্র
শূন্যস্থান পূরণ কর :
১. সৈয়দ শামসুল হব একাজ কবি |
২. সূর্য ওঠে পূর্বদিকে |
৩. আমরা স্বাধীন দেশের মানুষ |
৪. আমরা সবাই আপন কাজ করি |
৫. বাংলাদেশ অনেক বীরের জন্মভূমি
৬.বিপদে অস্থির হওয়া হওয়া ভালো নয় |
৭.বাবা কাজটি করতে হুকুম দিলেন
৮.এবছর বেজায় শীত পড়েছে
৯.চাঁদে কোনো জন-প্রাণী নেই |
১০.নুন ছাড়া খাবার খেতে বিস্বাদ লাগে |
১১ .রাজার মেয়েকে বনবাসে পাঠালেন |
১২.বরকন্দাজরা জামিদার বাড়ি পাহাড়া দিত I
১৩.তরুনদের মধ্যে সব সময় টগবগে ভাব ৷
১৪ .২১ শে ফেব্রুয়ারির মিছিল খালি পায়ে যেতে হবে ৷
১৫.অসুস্থ মানুষ হাসপাতালে ভূর্তি হয় ৷
বাংলা আমাদের মাতৃভাষ l
সবকিছুতে তার বেপরোয়া ভাব ৷
দেশের জন্য যারা প্রাঁণ দেন তারা অমর
১৭১৮ ১৯ ২০
0 মন্তব্যসমূহ